১৫-১৬ মাঘ ১৪২৭/২৯-৩০ জানুয়ারি ২০২১
গত ১৫ মাঘ ১৪২৭/২৯ জানুয়ারি ২০২১ সকাল ১০টায় আর্ন্তজাল (জুম) মাধ্যমে ‘পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা’ গানটির সাথে নারীপক্ষ’র বিভিন্ন কর্মসূচির ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করে “তবুও তরী বাইতে হবে” জাতীয় নারী সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন নারীপক্ষ’র সভানেত্রী মাহমুদা বেগম গিনি। গত দু’বছরে আমাদের মধ্য থেকে হারিয়ে যাওয়া অনেক আপনজন ও প্রিয় ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করে শোকবার্তা উপস্থাপন করেন নারীপক্ষ’র সদস্য নাজমুন নাহার। সূচনা বক্তব্য রাখেন নারীরপক্ষ’র আন্দোলন সম্পাদক তামান্না খান পপি। “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে নারী মুক্তি আন্দোলনের ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়” এ উদ্দেশ্য নিয়ে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপি জাতীয় নারী সম্মেলন চলছে। সম্মেলনে নারীপক্ষ’র সদস্য, কর্মী এবং সারা দেশে থেকে অন্তর্জালের মাধ্যমে সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধি, দুর্বার নেটওয়কের্র সদস্য, সহযোদ্ধা, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীসহ প্রায় পাঁচশত জন অংশগ্রহণ করেন।
‘অর্থনীতিতে নারীর অবস্থান’ অধিবেশন এ সঞ্চালক হিসেব মাহীন সুলতান, নির্বাহী সদস্য এবং সহ সঞ্চালক হিসেবে অর্চনা বিশ^াস, প্রাক্তন সভানেত্রী দায়িত্ব পালন করেন।
উক্ত অধিবেশনে বক্তা হিসেবে সানজিদা সুলতানা, কর্মসুচি ও নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কর্মজীবি নারী তার আলোচনায় বলেন কৃষি কাজের ২১টি ধাপের মধ্যে ১৭টি করে নারী কিন্তু সেই কাজের কোন স্বীকৃতি ও মূল্য নাই। তিনি বলেন কৃষক নারীদের নুন্যতম মজুরী, প্রণোদনা, বার্ড এবং বিভিন্ন দুর্যোগে রেশনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
কল্পনা আক্তার, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি, সভাপতি; বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন বলেন রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে বিদেশী ক্রেতাদের চাপে কাঠামোগত যথেষ্ট উন্নতি হলেও কর্মস্থলে নারী শ্রমিকেদের কম মজুরী, যৌন হয়রানি, শারিরকি নির্যাতন, যোগ্যতা থাকা সত্বেও পদোন্নতি না হওয়া একটি চর্চায় পরিনত হয়েছে। এই অবস্থার উন্নয়নের জন্য যৌথভাবে আন্দোলন করতে হবে। যেসব নারীরা কেয়ার গিভিং কাজ করে তাদের সামাজিক সুরক্ষা কি হবে তা ভাবতে হবে এবং একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে হবে।
ড: তাসনীম সিদ্দিকী, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নির্বাহী পরিচালক, রামরু বলেন, অভিবাসন শুধু যে নারী শ্রমিককে নির্যাতন করে তাই না তাকে ক্ষমতায়িতও করে এ বিষয়গুলো আমাদের ভাবতে হবে। অভিবাসন নারী শ্রমিকেরা যাতে নিরাপদে স্বসম্মানে কাজ করতে পারেন সে বিষয়ে রাষ্ট্রকে স্বক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কোন নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হলে সেই দেশের শ্রম আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে অভিবাসন পুরুষ শ্রমিকের চাইতে নারী শ্রমিক ফেরত এসেছে কম। কারণ নারীরা যেহেতু গৃহ শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সেই কারণে বেতন দেরীতে পেলে চাকুরী হারায়নি।
স্বর্ণলতা রায়, সভাপতি, সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি বলেন, নারী উদ্যোক্তারা যাতে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে সেজন্য যানবাহনের নিরাপত্তা খুবই দরকার, পাশাপাশি প্রতিটি জেলার কর্মজীবি নারীদের জন্য হোস্টেল থাকা জরুরী। সঞ্চালক মাহীন সুলতান অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সব নারীই কর্মজীবি, সব কাজের মূল্য চাই, স্বীকৃতি চাই। এই জন্য আমাদের যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
নারীপক্ষ’র প্রাক্তন সভানেত্রী, সৈয়দা রুহী গজনবীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। ফারাহ গজনবী নারীপক্ষ’র পক্ষ থেকে তাঁকে উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। স্মৃতিচারণে তিনি বলেন নারীপক্ষ’র বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে তাঁর যুক্ততা আন্দোলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং এই সংবর্ধনার দেয়ার জন্য নারীপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। নারীপক্ষ’র জন্ম ও শুরুর দিকের কথা বলতে গিয়ে তিনি কবি জাহেদা খানমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কারণ কবি জাহেদা খানমের বাসা থেকে নারীপক্ষ’র যাত্রা শুরু হয়েছিল। তাই তিনি তাঁর আজকের এই সম্মননা কবি জাহেদা খানকে উৎসর্গ করেন।
‘রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব’ অধিবেশনে নারীপক্ষ’র নির্বাহী সদস্য রীনা রায় সঞ্চালক এবং সদস্য মাহফুজা আক্তার মালা সহ সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বক্তা হিসেবে সাগুফতা ইয়াছমিন, মাননীয় সংসদ সদস্য, মুন্সিগঞ্জ-২, ডা. মাহলেকা বানু, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা পরষদ, শতরুপা চাকমা সদস্য, জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ি, ডা. মনীষা চক্রবর্তী সদস্য সচিব, বাসব ও কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরাম, বরিশাল যুক্ত ছিলেন।
“তবুও তরী বাইতে হবে” জাতীয় নারী সম্মেলন ১৬ মাঘ ১৪২৭/৩০ জানুয়ারি ২০২১ দ্বিতীয় দিন:
“তবুও তরী বাইতে হবে” শিরোনামে নারীপক্ষ’র দুইদিন ব্যাপী জাতীয় নারী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে (শেষ দিন) ‘পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা’ গানটির সাথে নারীপক্ষ’র বিভিন্ন কর্মসূচির ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
“নারী মুক্তি আন্দোলন: কতিপয় মৌলিক বিষয় ও বিতর্ক” শীর্ষক আলোচনায় সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন ফিরদৌস আজীম, নির্বাহী সদস্য ও প্রাক্তন সভানেত্রী, নারীপক্ষ এবং সহসঞ্চালক হিসেবে ছিলেন ফজিলা বানু লিলি, নির্বাহী সদস্য ও প্রাক্তন সভানেত্রী, নারীপক্ষ। উক্ত অধিবেশনে বক্তার আসন অলংকৃত করেছেন আন্তর্জাতিক নারী আন্দোলনের বিশিষ্ট নেত্রীবৃন্দ:
১. শান্তি দায়রিয়াম, প্রতিষ্ঠাতা, ইরো এশিয়া প্যাসিফিক, মালয়েশিয়া সিডও এর অনুমোদন ও প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে নারীর সমতার জন্য আন্তর্জাতিক সংগ্রাম সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, নারীমুক্তি আন্দোলনকারী সংগঠনসহ সরকারী বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) সম্পর্কে ধারণা প্রদানের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, কোন রাষ্ট্র সিডওতে শুধু অনুস্বাক্ষর করলেই হবে না বাস্তবে নারীরা সিডওতে বর্ণিত অধিকার এবং সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২.সিভানানথী থানেনথীরান, নির্বাহী পরিচালক, এশিয়া প্যাসিফিক রিসোর্স এন্ড রিসার্চ সেন্টার, মালয়েশিয়া নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকারের স্বীকৃতি ও প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, নারীমুক্তি আন্দোলনের একটি মূল বিষয় হওয়া উচিত ‘নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার’। ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার’ শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও প্রজনন সেবা নয়, নারীর জীবন জীবিকা উন্নয়নের জন্য অধিকার ভিত্তিক সমন্বিত কর্মসূচি । যেমন, নারীর জন্য জলবায়ু, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদি। তিনি আরো বলেন, হিজরা ও সমকামীদের অবহেলা না করে বরং নারী আন্দোলনের বিষয় হিসেবে গন্য করে আন্দোলনেক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। তিনি বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে স্ত্রীর অসম্মতিতে যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন হিসেবে গণ্য করার উপর জোর দেন।
৩. মাধু মেহরা, নির্বাহী পরিচালক, পার্টনারস ফর ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট, নয়াদিল্লী, ভারত জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে বৈষম্যমূলক আইন সংস্কার, নারী সুরক্ষার জন্য নতুন আইন প্রনয়ণ এবং বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে একত্রিত হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন। মৃত্যুদন্ড কোন অপরাধের শাস্তি হতে পারে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সম্মেলনের চতুর্থ অধিবেশনে নারীপক্ষ’র বিভিন্ন কর্মশালা ও সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারী মুক্তির লক্ষ্যে সুপারিশ সমূহ উপস্থাপন করা হয় এবং সেই আলোকে সুপারিশ সমূহ একসাথে বাস্তবায়ন করার জন্য আলোচনা করা হয়। উক্ত অধিবেশনের সঞ্চালনায় ছিলেন গীতা দাস, সদস্য নারীপক্ষ এবং সহসঞ্চালক হিসেবে ছিলেন রওশন আরা, আফসানা চৌধুরী, কে. এ. জাহান রুমী, সামিয়া আফরিন এবং রিতা দাস রায় যারা সবাই নারীপক্ষ’র সদস্য।
সান্ধ্যকালীন অধিবেশনে “নারীবাদী নেতৃত্বের বিকাশ: পথ চলার অভিজ্ঞতা” শীর্ষক আলোচনায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন শিরীন হক, নির্বাহী সদস্য ও প্রাক্তন সভানেত্রী, নারীপক্ষ এবং সহসঞ্চালক হিসেবে ছিলেন কামরুন নাহার, সদস্য, নারীপক্ষ। বক্তার ভূমিকায় ছিলেন মৈত্রেয়ী মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন সিনিয়র উপদেষ্টা, রয়েল ট্রপিকেল ইনিষ্টিটিউট, আমষ্টারডাম; শাহানা হানিফ, কমিউনিটি সংগঠক, নিউইয়র্ক সৈয়দা; সামারা মোরতাদা, আঞ্চলিক আন্দোলন নির্মাতা (ঝযব উবপরফবং) ও প্রতিষ্ঠাতা, প্রজন্মান্তরে নারীবাদী মৈত্রী; খাওয়ার মমতাজ, সভাপতি, জাতীয় মহিলা কমিশন, পাকিস্তান অংশগ্রহণ করেন।
সমাপনী অধিবেশনে ২দিনব্যাপী জাতীয় নারী সম্মেলনের সকল অধিবেশন থেকে পাওয়া বার্তা সমূহ উপস্থাপন করা হয় যা নিম্নরূপঃ
* ‘তবুও তরী বাইতে হবে’ নামটির সাথে একটা দায়িত্ব বোধ জেগে উঠে
* ‘পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা’ গানটিতে নারীপক্ষ’র ইতিহাস ও আন্দোলনের ধারা খুঁজে পাওয়া গেছে
* এখনও আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌছতে পারিনি, আমাদের আরো বেশী কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে একলা চলতে হবে, সবাইকে খুশি করে অন্য কিছু হলেও আন্দোলন হয় না
* নারীপক্ষ সব সময় সীমারেখা পেরিয়ে কাজ করছে
* বিতর্ককে উৎসাহিত করতে হবে
* বিচ্ছিন্ন আন্দোলন না করে, সংগঠিত হয়ে কাজ করলে আন্দোলনকে বেগবান করা যায়
* নারীর উপর সহিংসতা এবং নারী স্বাস্থ্য ছাড়াও আরো অনেক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন/কাজ করতে হবে
* প্রতিটি সেক্টর থেকে নারীদের নিজের অধিকার আদায়ের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে
* কর্তৃপক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা না পেলে জবাবদিহিতা এবং দায়বদ্ধতার জায়গা নিজেদেরকেই তৈরি করতে হবে
* সকল সেক্টরে সমন্বয় থাকতে হবে
* ঘরে কিংবা বাইরে কাজ করা প্রতিটি নারীই কর্মজীবি। সকল প্রকার কাজের মূল্য ও স্বীকৃতি দিতে হবে
* অভিবাসী নারী শ্রমিকদের কাজ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য না করে তাদের কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথপোযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে
* বিভিন্ন খাতের নারী শ্রমিকদের যোগসুত্র তৈরি করতে হবে। নারীপক্ষ ঈৎড়ংং ঝবপঃড়ৎধষ ঝড়ষরফধৎরঃু প্রকাশ করে এই বিষয়ে কাজ করতে পারে
* তৃণমূল থেকে সংগ্রাম করে একটা পর্যায়ে উঠে আসার পরেও নারীদের সংগ্রাম শেষ হয় না। নারীদের সংগ্রাম সবখানে রয়েছে, হয়তো ধরণ আলাদা
* সংরক্ষিত আসনেও নির্বাচন হতে হবে
* অবকাঠামোতে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে জনজীবনের অধিকার নিয়ে বেশি কাজ করতে হবে।
* যেকোন ইস্যু নিয়ে নতুন করে বিশ্লেষন করে আন্দোলন ও চিন্তাভাবনায় নতুনত্ব আনতে হবে
* অর্ন্তভুক্তিকরণের কাজে আরো মনযোগী হতে হবে
* শুধু রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল না হয়ে, নিজেদেরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে
* নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শুধু স্বাস্থ্য আন্দোলন নয়, এটির সাথে নারীর অধিকার ও জীবন-জীবিকা সম্পৃক্ত
* আইন নির্ভর সমাধানের দিকে গেলে হবে না, নিজেদেরও কাজ করতে হবে।
জাহানারা খাতুন, সম্মেলন সমন্বয়কারী ও সদস্য নারীপক্ষ সমাপনী অধিবেশনে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, সহযোগীতায় ছিলেন আফরিনা বিনতে আশরাফ সদস্য নারীপক্ষ।