‘‘কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার : প্রেক্ষিত জাতীয় পাঠ্যক্রম’’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভা
নারীপক্ষ নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার আন্দোলনের আওতায় বাংলাদেশে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক ও পাঠদান ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছে (জুলাই ২০১৪ থেকে এপ্রিল ২০১৬)। এই গবেষণালব্ধ ফলাফল নিয়ে “কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার: প্রেক্ষিত জাতীয় পাঠ্যক্রম” শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩/৪ জুন ২০১৬, শনিবার সকাল ১০ টায় সিরডাপ মিলনায়তন, চামেলী হাউস, ১৭ তোপখানা রোড, ঢাকা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা, চেয়ারম্যান, জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. রতন সিদ্দিকী, সদস্য (পাঠ্যপুস্তক), জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং প্রফেসর ড. মোঃ আবুল এহসান, সাবেক পরিচালক, শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়। মতবিনিময় সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন আবু জাফর আহমদ, পাঠ্যক্রম বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, প্রফেসর ইসমাত রুমিনা, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক লেখক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, তৌহীদ রেজা নূর, সমন্বয়কারী, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রোকসানা সুলতানা, নির্বাহী পরিচালক, ব্রেকিং দ্যা সাইল্যান্স, রোকেয়া সুলতানা, প্রকল্প পরিচালক, সিডব্লিউএফডি, মুনমুন গুলশান, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, ইউবিআর বাংলাদেশ এ্যালায়েন্স প্রমুখ। সভায় গাউসিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ভিকারুন নেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ, ধানমন্ডি কামরুন নেসা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সহ সর্বমোট ৮৩ জন অংশগ্রহণ করে আলোচনাকে সমৃদ্ধ করেছেন।
সভায় গবেষণার সারমর্ম উপস্থাপন করেন নারীপক্ষ’র সদস্য কামরুন নাহার, সঞ্চালনা করেন এ্যাড. ইউ. এম. হাবিবুন নেসা এবং সভাপতিত্ব করেন নারীপক্ষ’র সভানেত্রী রেহানা সামদানী। গবেষণা ফলাফলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবন অভিজ্ঞতার আলোকে মতামত তুলে ধরেন এবং অন্যান্য বক্তাগণ প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষার সীমাবদ্ধ উত্তরনে করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। সভায় উল্লেখিত প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ:
* স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে সমন্বিত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয় অন্তর্ভুক্ত এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পদ্ধতি আধুনিক ও সহজিকরণ করা এবং শিক্ষকদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা
* সকলের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা
* যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়টি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে এখনও গোপন বা লজ্জাকর এবং উপেক্ষিত, তাই গণমাধ্যম ব্যবহার করে এ সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেয়া।